সূরা আল-কিয়ামাহ (পুনরুত্থান - বাংলা অনুবাদ) سُورَة القيامة

এই সূরাটি কুরআনের 75 নম্বর সূরা এবং এতে 40 টি আয়াত রয়েছে। সূরা আল-কিয়ামাহ কুরআনের ৭৫তম সূরা এবং এতে ৪০টি আয়াত রয়েছে। এটি আখেরাত, কেয়ামত ও ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ব্যাখ্যা করে।

অনুবাদ: সূরা আল-কিয়ামাহ (পুনরুত্থান) سُورَة القيامة

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

i

আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ ١ i

আমি শপথ করি কেয়ামত দিবসের (১)

وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ ٢ i

আরও শপথ করি সেই মনের, যে নিজেকে ধিক্কার দেয়- (২)

أَيَحْسَبُ الْإِنْسَانُ أَلَّنْ نَجْمَعَ عِظَامَهُ ٣ i

মানুষ কি মনে করে যে আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না? (৩)

بَلَىٰ قَادِرِينَ عَلَىٰ أَنْ نُسَوِّيَ بَنَانَهُ ٤ i

পরন্ত আমি তার অংগুলিগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। (৪)

بَلْ يُرِيدُ الْإِنْسَانُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ ٥ i

বরং মানুষ তার ভবিষ্যত জীবনেও ধৃষ্টতা করতে চায় (৫)

يَسْأَلُ أَيَّانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ ٦ i

সে প্রশ্ন করে-কেয়ামত দিবস কবে? (৬)

فَإِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ ٧ i

যখন দৃষ্টি চমকে যাবে (৭)

وَخَسَفَ الْقَمَرُ ٨ i

চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে। (৮)

وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ ٩ i

এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে- (৯)

يَقُولُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ ١٠ i

সে দিন মানুষ বলবেঃ পলায়নের জায়গা কোথায় ? (১০)

كَلَّا لَا وَزَرَ ١١ i

না কোথাও আশ্রয়স্থল নেই। (১১)

إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرُّ ١٢ i

আপনার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাঁই হবে। (১২)

يُنَبَّأُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ ١٣ i

সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে যা সামনে প্রেরণ করেছে ও পশ্চাতে ছেড়ে দিয়েছে। (১৩)

بَلِ الْإِنْسَانُ عَلَىٰ نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ ١٤ i

বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চক্ষুমান। (১৪)

وَلَوْ أَلْقَىٰ مَعَاذِيرَهُ ١٥ i

যদিও সে তার অজুহাত পেশ করতে চাইবে। (১৫)

لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ ١٦ i

তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না। (১৬)

إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ ١٧ i

এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব। (১৭)

فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ ١٨ i

অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন। (১৮)

ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ ١٩ i

এরপর বিশদ বর্ণনা আমারই দায়িত্ব। (১৯)

كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ ٢٠ i

কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালবাস (২০)

وَتَذَرُونَ الْآخِرَةَ ٢١ i

এবং পরকালকে উপেক্ষা কর। (২১)

وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ ٢٢ i

সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে। (২২)

إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ٢٣ i

তারা তার পালনকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকবে। (২৩)

وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ بَاسِرَةٌ ٢٤ i

আর অনেক মুখমন্ডল সেদিন উদাস হয়ে পড়বে। (২৪)

تَظُنُّ أَنْ يُفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ ٢٥ i

তারা ধারণা করবে যে, তাদের সাথে কোমর-ভাঙ্গা আচরণ করা হবে। (২৫)

كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ ٢٦ i

কখনও না, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে। (২৬)

وَقِيلَ مَنْ ۜ رَاقٍ ٢٧ i

এবং বলা হবে, কে ঝাড়বে (২৭)

وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ ٢٨ i

এবং সে মনে করবে যে, বিদায়ের ক্ষণ এসে গেছে। (২৮)

وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ ٢٩ i

এবং গোছা গোছার সাথে জড়িত হয়ে যাবে। (২৯)

إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمَسَاقُ ٣٠ i

সেদিন, আপনার পালনকর্তার নিকট সবকিছু নীত হবে। (৩০)

فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ ٣١ i

সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায পড়েনি; (৩১)

وَلَٰكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ ٣٢ i

পরন্ত মিথ্যারোপ করেছে ও পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে। (৩২)

ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰ أَهْلِهِ يَتَمَطَّىٰ ٣٣ i

অতঃপর সে দম্ভভরে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে গিয়েছে। (৩৩)

أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ ٣٤ i

তোমার দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ। (৩৪)

ثُمَّ أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ ٣٥ i

অতঃপর, তোমার দুর্ভোগের উপর দূর্ভোগ। (৩৫)

أَيَحْسَبُ الْإِنْسَانُ أَنْ يُتْرَكَ سُدًى ٣٦ i

মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে? (৩৬)

أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِنْ مَنِيٍّ يُمْنَىٰ ٣٧ i

সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? (৩৭)

ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ ٣٨ i

অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। (৩৮)

فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَىٰ ٣٩ i

অতঃপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল নর ও নারী। (৩৯)

أَلَيْسَ ذَٰلِكَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَنْ يُحْيِيَ الْمَوْتَىٰ ٤٠ i

তবুও কি সেই আল্লাহ মৃতদেরকে জীবিত করতে সক্ষম নন? (৪০)